আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে নিজ দেশ নাগরিক ও অন্যান্য সহযোগীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া আবারো শুরু করেছে মার্কিন সেনারা।
শনিবার (২১ আগস্ট) কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম আবারো শুরু হয়েছে। আগের দিন, শুক্রবার লম্বা সময়ের জন্য সেখানকার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
কাবুল থেকে মার্কিন নাগরিকদের প্রথমে নেয়া হচ্ছিলো কাতারের দোহাতে। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া থেকে নিজ দেশে উড়ে যাচ্ছিলেন তারা।
মার্কিন সেনা কর্তৃপক্ষ জানায়, দোহাতে ধারণ ক্ষমতার চাইতে বেশি মানুষ চলে যাওয়াতেই সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। সে কারণেই সাময়িকভাবে কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়।
তারা জানান, কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে যাত্রীদের উড়ান প্রক্রিয়া আবারো শুরু হয়েছে। সেখানে যাত্রী জট দূর হতে অনেক সময় লাগবে বলেও জানান, তারা।
কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখনো হাজার হাজার মানুষ দেশ ছাড়ার জন্য সেখানে অবস্থান করছেন। এতে নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের।
শুক্রবার বিমানবন্দরের পূর্ব দিকের গেটের সামনে গুলি চালায় তালেবান। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কিত মানুষ ছোটাছুটি শুরু করলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। বন্ধ করে দেয়া হয় বিমানবন্দর।
আরও পড়ুন: আফগান শরণার্থী ঠেকাতে সীমান্তে বেড়া দিলো গ্রীস
এই ঘটনার পর তালেবানকে হুশিয়ার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, উদ্ধার কাজ চালানো সেনাদের উপর আক্রমণ হলে কড়া জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে তালেবানকে।
কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখনো নিয়ন্ত্রণে রেখে পশ্চিমা সেনারা। আমেরিকা ও ব্রিটেনের সেনারা বিভিন্ন দেশের বিমানের সাহায্যে তাদের নাগরিকদের উদ্ধার করে দেশে পাঠাচ্ছে।
একাত্তর/আরএ