চারটি মূল স্তরে ইসরাইল বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখে ইসরাইল। বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও রকেট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাক থেকে ছোড়া ‘স্কাড’ ক্ষেপণাস্ত্রের অভিজ্ঞতা থেকেই ইসরাইল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে মনোযোগ দেয়।
এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় তারা গড়ে তোলে একাধিক প্রতিরক্ষা স্তর, যা এখন ইরান থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের হুমকি মোকাবিলায় ব্যবহৃত হচ্ছে। আরও জানাচ্ছেন ঋতু সাহা।
অ্যারো-টু এবং অ্যারো-থ্রি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিস্টেম দিয়েই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলা করে ইসরাইল। মূলত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার হয় এগুলো।
ভূমি থেকে ভূমিকে নিক্ষেপ করা ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংসে ব্যবহার হয় অ্যারো-টু। আর অ্যারো থ্রি হলো ব্যালিস্টিক মিসাইল বিধ্বংসী সর্বাধুনিক ব্যবস্থা। এটি স্থাপন করা হয় মহাকাশে।
এগুলো সব দুর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের ব্যবস্থা। এছাড়া, মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ডেভিড’স স্লিং সিস্টেম ব্যবহার করে ইসরাইল।
১০০-২০০ কিলোমিটার দূর থেকে আসা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম এই ব্যবস্থা।
অন্যদিকে, ছোট পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরাইল ব্যবহার করে আয়রন ডোম। এই ব্যবস্থাটি মূলত গাজা থেকে হামাসের ছোড়া রকেট ঠেকানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
এটি ২০১১ সাল থেকে চালু হয়। প্রতিটি ইউনিট রাডার-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মাঝ আকাশেই রুখে দেয় শত্রুপক্ষের রকেট। আয়রন ডোম একটি ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম।
রকেট যদি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পড়ার শঙ্কা না থাকে, তবে সেটিকে ভূপাতিত করে না এই ব্যবস্থা। আকাশ থেকে ড্রোন ধ্বংস করতে এয়ার টু এয়ার মিসাইল ব্যবহার করছে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো।
ফলে অনেক আত্মঘাতী ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গেল অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র যে থাড ব্যবস্থা ইসরাইলে মোতায়েন করেছে, সেটি তীব্র আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করে।
ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরাইল ভূমিভিত্তিক এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে।