বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌ চলাচলের পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরান, এমন কানাঘুষা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুট বন্ধ করা থেকে বিরত রাখতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
স্থানীয় সময় রোববার (২৭ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ আহ্বান জানান।
রুবিও ফক্স নিউজকে বলেন, আমি বেইজিংয়ে চীন সরকারকে উৎসাহ দিচ্ছি, তারা যেন এ বিষয়ে ইরানকে ফোন করে। কারণ, চীন হরমুজ প্রণালীর ওপরই তাদের তেলের জন্য ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
বিশ্লেষকদের মতে, রোববার সকালে ওয়াশিংটনের হামলার জবাবে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধের পথ বেছে নিতে পারে। এই জলপথ দিয়ে বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবাহিত হয়।
‘যদি তারা তা করে, তাহলে এটি আরেকটি ভয়াবহ ভুল হবে’ বলে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, এটি হবে তাদের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহত্যা এবং আমরা এটি মোকাবিলা করার বিকল্প রাখি।
তিনি আরও বলেন, তবে অন্যান্য দেশেরও এটির দিকে নজর দেয়া উচিত, এটি অন্যান্য দেশের অর্থনীতিকে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আমার মনে হয়, এটি একটি বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। এর প্রতিক্রিয়া কেবল আমাদের নয়, অন্যান্যদের কাছ থেকেও আসা যুক্তিযুক্ত।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহৃত সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক উপদেষ্টা বলেছেন, এসব ঘাঁটি এখন থেকে ‘আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য বৈধ টার্গেট।’
তবে এই মার্কিন হামলার পর তেহরান সংঘাত কমাবে না আরও বাড়াবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, চীন ও রাশিয়া বেশ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে একত্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, এসব হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।