ইরান ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র ত্রিপক্ষীয় হামলা পাল্টা হামলার মধ্যেই ইরানের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন কেনো হবে না; সামাজিক মাধ্যমে এমন প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ইরানে মার্কিন হামলার উদ্দেশ্য সরকার পরিবর্তন নয় বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
এরইমধ্যে ইরানে হামলাকারী শক্রকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এদিকে হামলার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বাক বিতণ্ডায় জড়ান যুক্তরাষ্ট্র ইরান ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরা।
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তেহরান ও তেল আবিবের মধ্যে। সোমবারও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে দুই দেশই। ইরানের মধ্যাঞ্চলে অ্যাম্বুলেন্সে ইসরাইলের ড্রোন হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়েছে ইরান।
এরই মধ্যে ইরানের শাসন ব্যবস্থার কেনো পরিবর্তন হবে না সামাজিক গণমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবিও করেন তিনি। যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কোন বিবরণ দেননি তিনি। তার প্রশাসন তরফেও কোন তথ্য দেয়া হয়নি।
এদিকে শাসন ব্যবস্থা নিয়ে ট্রাম্পের বিপরীতমুখী বক্তব্য দিয়েছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন ইরানের মার্কিন হামলার লক্ষ্য শুধুমাত্র পরমাণু হুমকি ঠেকানো, সরকার পরিবর্তন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, এই হামলার উদ্দেশ্য ইরানের সরকার পরিবর্তন ছিলো না। এই উদ্দেশ্য এখনো নেই। ইরানের পরমাণু হুমকি বন্ধে আমাদের জাতীয় স্বার্থে এই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ডরোথি শে জানান, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির হুমকি প্রতিরোধ করতেই দেশটিতে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে ধামাচাপা দিয়েছে। সময় এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র এবং আমাদের নিজস্ব নাগরিক এবং স্বার্থের প্রতিরক্ষায়, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার।
আর মার্কিন হামলা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ইসরাইল ও ইরানি প্রতিনিধি। ইসরাইলি প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন বলেন, তেহরানের শাসকগোষ্ঠীর অন্য পরিকল্পনা ছিল। তারা আলোচনার টেবিলকে ছদ্মবেশ, বিলম্বের কৌশল, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সময় কেনার উপায় হিসাবে ব্যবহার করেছিল। জবাবে, ইরানি প্রতিনিধি আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, কোনও আইনি ভিত্তি নেই এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে, ইরানে হামলাকারীকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। মার্কিন হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে প্রতিশোধের হুমকি দেন খামেনি।