করোনা মহামারীতে স্বস্তির একটা মাস পার করলো- বাংলাদেশ। আগের দুই মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো তুলনামূলক অনেক কম।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হারও নেমে এসেছে পাঁচ শতাংশের নিচে। সার্বিকভাবে করোনা পরিস্থিতিকে আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, স্বস্তির এই পরিস্থিতি কতদিন ধরে রাখা যাবে, তা স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর নির্ভর করছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন তারা।
সারাদেশের সার্বিক হিসাবে, গত আগস্টের চেয়ে সাড়ে চার ভাগ কম রোগী মিলেছে সেপ্টেম্বরে। মৃত্যূর সংখ্যাও কমেছে একই হারে। বেড়েছে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে জুলাই মাসে প্রায় সাড়ে তিন লাখ। আগস্টে সংখ্যাটা ছিলো আড়াই লাখ। তবে সেপ্টেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজারের কিছু বেশি।
গত জুলাইয়ে ছয় হাজার আর আগস্টে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আর আগস্টে মৃত্যুর সংখ্যাটা চৌদ্দশ’রও কম।
সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন শনাক্তের হারে। আগস্টে রোগী শনাক্তের হার ৩০ থেকে নেমেছিলো ২১ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে একমাসের ব্যবধানে শনাক্তের হার নেমেছে সাত শতাংশেরও কমে। সেপ্টেম্বরে সুস্থ হয়েছে প্রায় নব্বই হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: পাহাড় থেকে সোনা তুলতে ব্যস্ত জুম চাষীরা
গত দশদিন যাবত আক্রান্ত শনাক্তের হার থাকছে পাঁচ শতাংশ বা তার নিচে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধশতর নিচে থাকছে গেলো দুই সপ্তাহ যাবৎ।
করোনার নিম্নমুখী এই পরিস্থিতিতে আবারও শিথিল হয়েছে মাস্কের ব্যবহার। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শিথিলতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়ানক করে তুলতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৫ লাখেরও বেশী। মারা গেছে সাড়ে সাতাশ হাজার মানুষ।
একাত্তর/টিএ