ঝড়, কুয়াশা, ডাকাতি কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটি- যে কারণেই হোক, বাংলাদেশের জলসীমায় বিপদে পড়া মানুষকে উদ্ধারে নিরন্তর ছুটে চলেছে- কোস্টগার্ড। গেল এক বছরে এমন ৪৬৫ জন মানুষকে জীবিত এবং ৪৪টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
তবে, বিরূপ আবহাওয়াতেও ছুটে যেতে পারার মত নৌযানসহ আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের দাবি জানিয়েছে- কোস্টগার্ড।
ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় তিনদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোট এফভি সুরমায় ভাসছিলো ১৫ জন জেলে। বাঁচার আশা যখন প্রায় শেষ, তখন ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ছুটে যায় কোস্টগার্ড। উদ্ধার করা হয় সাগরে আটকে পড়াদের।
গেলো ১৮ জুন ঝড় তুফানে বরগুনায় ডুবে যায় মাছ ধরা ট্রলার এফবি বিলকিস। আব্দুল করিমের মত ২২ জেলে উদ্ধার পান কোস্টগার্ডের সহায়তায়।
৩০ এপ্রিল ভোরে চট্টগ্রাম বর্হিনোঙ্গরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ধাক্কায় ডুবে যায় পাথর বোঝাই এমভি পিংকি। কোস্ট গার্ড উদ্ধার করে পাঁচ ক্রুকে।
এভাবে দেশের জলসীমায় বিপদে পড়া ৪৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। গেল ছয় বছরে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
কোস্টগার্ড বলছে সমুদ্রে এ বছরই সবচেয়ে বেশি ঝড় ও দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। মানুষের বিপদও বেড়েছে। তাই নৌযানের ফিটনেস ঠিক থাকাকেই সবচে গুরুত্বপূর্ণ বলছে কোষ্টগার্ড।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
আবহাওয়া ঠিক থাকলে মেটাল শার্ক এবং স্প্রিং রে বোটের যা গতি, তা দিয়ে আধঘণ্টার মধ্যেই বিপদে পড়া নৌযানকে উদ্ধার করতে সক্ষম কোস্টগার্ড।
একাত্তর/আরএ