বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় এবার পাশে দাঁড়ালো জার্মানি। দেশটি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাত লাখ ৯০ হাজার ডোজ টিকা আসছে শনিবার।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার এসব টিকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
টিকার চালান গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে জার্মানির রাষ্ট্রদূত, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া উপস্থিত থাকবেন। টিকার চালান গ্রহণ শেষে তারা ব্রিফ করবেন।
এর আগে, ২৮ আগস্ট জাপান থেকে ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পঞ্চম চালান দেশে আসে। গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়।
এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে আসে। গত ২ আগস্ট আসে উপহারের আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা। ২১ আগস্ট চতুর্থ চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় আসে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর তিন মাস পর টিকা পেলেন ভারতীয় নারী!
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ৫ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৫ ডোজ করোনার টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার ৭ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার ২৪৮ জন।
এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ করা হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭০ ডোজ। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৫৫ ডোজ।
চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৯ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে ৫১ লাখ ৮১১ ডোজ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৮ জন করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৪৩ জন এবং পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৮৫ জন নিবন্ধন করেছেন।
একাত্তর/টিএ