বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইন পাস হয়েছে
১৫ বছর। এতদিন দিন পরে সেই আইন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর, তাতেই বিদেশী
সকল চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে কেবল অপারেটররা।
তাদের সংগঠন কোয়াব বলছে, বিজ্ঞাপণ ছাড়া ক্লিন ফিড দেয়ার দ্বায়িত্ব বিদেশি চ্যানেলগুলোর এদেশীয় পরিবেশকদের। পরিবেশকরা তা না করায় বিপদে পড়েছেন তারা। ৪ অক্টোবরের মধ্যে এ জটিলতার অবসান না হলে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে কোয়াবের একাংশ।
বিদেশী চ্যানেলে বিজ্ঞাপণ প্রচারের কারণে বছরে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার। ২০০৬ সালে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী বিজ্ঞাপণসহ বিদেশি কোনো চ্যানেল দেশে সম্প্রচার করতে পারবে না।
১৫ বছর পর সেই আইনের প্রয়োগ শুরু করেছে, সরকার। আইন অনুযায়ি বিজ্ঞাপণ ছাড়া বিদেশি চলতে কোনো বাধা নেই। তবে, সরকার এমন উদ্যেগ শুরু করার পরপরই, শুক্রবার থেকে সব বিদেশী চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে কেবল অপারেটরা।
কেবল অপারেটররা বলছেন, বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে এমন বিদেশি চ্যানেলগুলো থেকে বিজ্ঞাপন কেটে সম্প্রচার সম্ভব নয়। এ কারণে তাঁরা চ্যানেলগুলো দেখানোই বাদ দিয়ে দিয়েছেন।
এ নিয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবল অপারেটর সমন্বয় কমিটি বলেছে, বিজ্ঞাপণ ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের পক্ষে তারাও। কিন্তু বিদেশী চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ও দেশের পরিবেশকরা তাদেরকে বিজ্ঞাপণবিহীন ছবি দিচ্ছে না। এই জটিলতা সোমবারের মধ্যে নিরাসন না হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
আর, প্রযুক্তি ডিজিটালাইজেশন না হওয়া পর্যন্ত বিদেশী চ্যানেলের কলিন ফিডের সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানিয়েছে কেবল অপারেটরদের সংগঠন- কোয়াব। তবে তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এদেশে বিদেশি চ্যানেল চালাতে হলে বিজ্ঞাপনবিহীনই চালাতে হবে।
একাত্তর/এআর