সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর থেকে বছরে কমপক্ষে ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, আরেকটু উদ্যোগী হলে সম্পদ আহরণের এই পরিমাণ বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
অথচ বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদ চুরি করে নিয়ে যায় অনুপ্রবেশকারীরা। তবে তাদের ঠেকানোর পাশাপাশি বাণিজ্যপথ নির্বিঘ্ন রাখতে নজরদারি বাড়িয়েছে কোস্টগার্ড।
আন্তর্জাতিক আদালতে রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে এক লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের সমুদ্র সীমার দখল পেয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের সব রকম সম্পদের মালিক এখন বাংলাদেশ।
বঙ্গোপসাগরে আছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। ৩৬ প্রজাতির চিংড়িসহ নানা রকম প্রাণীজ সম্পদ। যার উপর নির্ভরশীল উপকূলের ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা।
অথচ দেশের ২০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে এখনও জেলেদের গন্তব্য মাত্র ৩৫-৪০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে। বাকি অংশে প্রায় ঢুকে পড়ে প্রতিবেশী দেশের জেলেরা।
এই সমুদ্রসীমায় আছে ইউরেনিয়াম ও স্বর্ণসহ দুর্লভ নানা খনিজ পদার্থ। আছে সোনার চেয়ে দামি খনিজ বালি। আছে অন্তত ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত।
উপকুলের এই অঞ্চলে চলছে মাতারবাড়িসহ ২২টি মেগা প্রকল্প। এতোসব পরিকল্পনায় নিরাপত্তা রক্ষার কাজটি করছে কোস্টগার্ড।
এত সম্পদ বুকে ধরে রাখা এই সমুদ্রসীমার ব্যবহার এখনও তেমন হয়নি বললেই চলে। কিন্তু উদ্যোগী হলে সমুদ্র থেকেই মিলতে পারে বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদ।
একাত্তর/আরএ