স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেসব অগ্রাধিকার সুবিধা পেয়ে আসছে সেসব অব্যাহত রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের সর্ববৃহৎ গন্তব্য। এছাড়া, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান উৎস। বিগত দিনে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম আস্থাশীল অংশীদারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্বতঃস্ফূর্ত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে মিয়ানমারকে অব্যাহত চাপ প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সম্প্রতি সংঘঠিত সন্ত্রাসী ঘটনা তাদের বিষয়ে সবচেয়ে সুন্দর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
একাত্তর/এআর