প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসবের। সদরঘাটের বীণা স্মৃতি ঘাটে শুক্রবার বিকেল চারটায় শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।
একের পর এক বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে এসে পৌঁছায় প্রতিমা। বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজধানীর বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে শাহজাহানপুর বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা।
প্রতিমা ঘাটে নিয়ে আসার পর শেষবার ধূপধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন ভক্তকূল। সবশেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে মা দুর্গা ও তার সন্তানদের নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হয়।
বিসর্জনের সময় ‘দুর্গা মা কী, জয়’, ‘আসছে বছর আবার হবে’ বলে ধ্বনি দেওয়া হয়। ভক্তরা ঢাকের শব্দের সঙ্গে কাসার ঘণ্টা বাজিয়ে নৌকাযোগে প্রতিমাগুলো নদীতে বিসর্জন দেয়।
আরও পড়ুন: রূপালি পর্দায় আশা দেখাচ্ছে অনুদানের সিনেমা
বিসর্জনের সব নদীর জলই নাকি এক। বুড়িগঙ্গার জলে দেবী বিদায়ের বিষাদের সাথে মিশে ছিলো বিজয়ার আনন্দ। তবে বিষন্ন ভক্তের মন, দেশের নানা স্থানে মণ্ডপে হয়েছে হামলা।
বিসর্জন উপলক্ষ্যে সদরঘাট এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
সনাতন ধর্মমতে, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মা দুর্গার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ চলে যান কৈলাসে স্বামীর ঘরে। তিনি আবার এক বছর পর নতুন শরতে ‘পিতৃগৃহ’ এই ধরণীতে ফিরবেন। দেবী দুর্গা এবার এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে, চলে গেলেন দোলায় বা পালকি চড়ে।
একাত্তর/টিএ