সব দলের অংশগ্রহণে আগামীতে সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা জানিয়ে নতুন প্রধান
নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে আনতে বিএনপিকে কথা বলার জন্য
আহবান জানানো হবে। এনিয়ে সময় চলে যায়নি বলেও মনে করেন সিইসি।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় অন্যান্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবো। আমরা প্রত্যাশা করি সবাই নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবেন।
তিনি আরো বলেন, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো। আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করি সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে দায়িত্বটা রয়েছে, সেটা যদি শেয়ার না করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন এককভাবে যে কাজ করবে সেখানে সীমাবদ্ধতা দেখা দেবে। আমাদের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আবদার করা, বিনয় করা, অনুনয় করা। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমরা সহযোগিতা করব।
তিনি যোগ করেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা না করে, পলিটিক্যাল লিডারশিপের যদি ন্যূনতম সমঝোতা না থাকে। আমিতো তাদের মুরুব্বি হতে পারব না। উনারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী, অনেক বেশি অভিজ্ঞ।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজে নিয়োগ দেয়া যাবে না: মন্ত্রিসভা
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এই নতুন ইসির অধীনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তবে সে সময় আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, সেই নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছে বিএনপি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, বিএনপি যদি এমন ঘোষণা দিয়েও থাকে, আমরা কী তাদের চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাব না? কোনো কথাই শেষ কথাই নয়।
বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন সরকার করে না। নির্বচানের সময় একটা সরকার থাকে। কোনো না কোনো সরকার থাকবেই। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ছিল, নির্দলীয় সরকার ছিল।
তিনি বলেন, এখন যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা আছে, সেটা মেনেই আমরা চেষ্টা করব, ভোটাররা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেটা বড় চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন আর যুদ্ধের চলমান ঘটনাপ্রবাহ থেকে উদাহরণ টানেন সিইসি।
তিনি বলেন, মাঠ ছেড়ে চলে গেলে হবে না। মাঠে থাকবেন। কষ্ট হবে। জেলেনস্কি পালিয়ে যেতে পারতেন। তিনি প্রতিরোধ যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ধস্তাধস্তি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর কমিশনের প্রথম দিনের বৈঠক ছিলো মূলত নিজেদের মধ্যে পরিচিতি পর্ব।
এর আগে শপথ নেওয়ার পরদিন সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এসে দায়িত্ব বুঝে নেন নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
একাত্তর/আরবিএস