চলতি মাসে ঢাকায় কিউলেক্স মশার উৎপাত সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবার যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে সেটিকে ভুল বলে উড়িয়ে দিলেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস।
তার দাবি, ঢাকা দক্ষিণে মশা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে কিউলেক্সের জন্মস্থানে ঠিকমতো ওষুধ ছিটানো যাচ্ছে না, তাই মশা বাড়ছে।
কিউলেক্স মশার উৎস সন্ধানে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি ঝিলপাড়ে যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কীটতত্ববিদ কবীরুল বাশার।
তিনি বলছিলেন, একটি প্লাস্টিকের পটে ঝিলটি থেকে এক একবার পানি তুললে তাতে কিউলেক্সের কমপক্ষে ৫০০ লার্ভা ও পিউপা পাওয়া যাচ্ছে।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা উল্লেখ করে এই কীটতত্ববিদ বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে পুরো ঝিলে মশার ওষুধ ছিটানো যাচ্ছে না। হাতের স্প্রেতে যা ছিটানো হচ্ছে তা কাজে আসছে না।
রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় এমন ঝিল বা ডোবা-নালার সংখ্যা অগুন্তি। বছরের এই সময়ে যেগুলো কিউলেক্স মশার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।
মশার পূর্বাভাস মডেল তৈরি করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি মাসে রাজধানীতে কিউলেক্স মশার উৎপাত চরমে পৌঁছাতে পারে।
তবে, সেই পূর্বাভাসকে ভুল বললেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। বুধবার সামসাবাদ এলাকা পরিদর্শন করে তার দাবি, ঢাকা দক্ষিণে মশা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
মেয়র তাপস বলেন, গত বছরের মার্চ মাসের এমন রকম সময়ে আমি বলেছিলাম যে, ১৪ তারিখের পরে মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
তিনি বলেন, ‘সেই তুলনায় এবার জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারি পার হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি চলে এসেছি। এবার এখন পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞরা বারবার বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের তাগাদা দিলেও এখনো দুই সিটিতেই চলছে নিয়মিত কার্যক্রম।
একাত্তর/ এনএ