প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছরইদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধস্ত দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টাকরেছিলেন। আর যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে হয়েছে, পুরোটাই অওয়ামী লীগের হাত ধরে হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায়, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী উপলক্ষে ঐতিহাসিকসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ শিরোনামে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানউদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের মধ্যে একটি সময় ছিল বিজয় অর্জনও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার। তারপর আরেকটি অধ্যায় হলো ২১ বছরের শোষণ বঞ্চনা। হত্যা-ক্যুঅবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি। ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর কিন্তু উন্নয়ন হয়নি।
কেবল জাতির পিতার ক্ষমতাকাল এবং ১৯৯৬ সালে মানুষ কিছুটা উন্নয়নের ছোঁয়াপায়। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমার প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি। এ দেশেরএকটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পরদেশে ফিরেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কীভাবে চলবে তার দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেন। জাতির পিতাশুধু স্বাধীনতা দেননি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা ভেঙেনতুন সমাজ গড়ার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
তৃণমূল মানুষ যেন ক্ষমতাসীন হন সেই ব্যবস্থাতিনি নিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় এলো চরম আঘাত। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি।এরপর অন্ধকারের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে তার স্বাধীনতার চেতনা, জয় বাংলারস্লোগান।
৭ মার্চের ভাষণ হয় নিষিদ্ধ—বঙ্গবন্ধুর নাম ও ছবি নিষিদ্ধ। ২১টিবছর এভাবে বাংলাদেশের বিজয় ইতিহাসকে পদদলিত করা হয়। একটি মন্দ ইতিহাস ছড়ানোর চেষ্টাকরা হয়। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্যের জয় হবেই। আজ সেটাই হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাবলেন, বাংলাদেশকে যেন কেউ অবহেলা করতে না পারে। বাংলাদেশের মানুষ যেনবিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। শিক্ষা-দীক্ষা-প্রযুক্তি জ্ঞান সব দিক থেকে যেনআমরা এগিয়ে থাকতে পারি।
সুবর্ণজয়ন্তীর পথ ধরে আমরা এগিয়ে যাবো। শতবর্ষউদযাপন করবে আমাদের আগামী দিনের প্রজন্ম। তারা এটা করবে ২০৭১ সালে। তাদের জন্য শুভেচ্ছাজানিয়ে এবং আমাদের বর্তমানকে আগামী প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে আমারএটাই আহ্বান থাকবে—আমরা পরিকল্পনা দিয়ে গেছি ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানআমরা করেছি। এ দেশের মানুষ কীভাবে উন্নত জীবন পাবে—সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা।
একাত্তর/এসএ