ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্য পুরুষ ছয় কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন, নারী পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৩৭ জন।
আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এবার নতুন করে তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন ৭৯ লাখ ৮৩ লাখ ২৭৭ জন, যারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এসব তথ্য ধরেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, ২০২২ সালে দেশে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। ওই বছরের জুন থেকে নভেম্বর পযন্ত হালনাগাদ কার্যক্রমে তালিকা থেকে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন মৃত ভোটার বাদ পড়েছে।
সচিব বলেন, সব মিলিয়ে মৃতদের বাদ ও নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করে এ বছরের খসড়া ভোটার তালিকা নতুন অন্তর্ভুক্তযোগ্য ভোটারের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নাম বা অন্যান্য তথ্য সংশোধনে আবেদন করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা।
হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর সেটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেয়া হবে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান।
এক্ষেত্রে দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবী, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদ করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ।
গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে চার ধাপে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ চলে। ডিসেম্বরে হালনাগাদের নতুন ভোটারদের ছবি তোলা, ১০ আঙ্গুলের ছাপ, আইরিশসহ বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শেষ হয়।
ভোটার তালিকার জন্য তিন বছরের (১৫-১৭ বছর) অনেকের তথ্য নেওয়া হলেও ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকায় যারা যুক্ত হবে, তারাই আগামী দ্বাদশ সংসদ ভোট দিতে পারবেন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৫-১৭ বছর বয়সী এবং ভোটারযোগ্য বাদ পড়া নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে ২০২৩ সালে নতুন যারা ভোটার তালিকাভুক্ত হচ্ছে, তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। বাকিরা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে।
একাত্তর/এসি