প্রবাসীদের টিকা না দেয়া গেলে আগামী এক মাসে কোয়ারেন্টাইন বাবদ খরচ হবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এজন্য প্রবাসী কর্মীদের জন্য এক লাখ ডোজ টিকার দাবি জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন- সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ।
বুধবার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান, সমন্বয় পরিষদের নেতারা।
বর্তমানে বায়রা’র কমিটি নেই। আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য গঠিত সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ, বায়রা-এর ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
করোনার জন্যে ১৬টি দেশের নাগরিককে সৌদি আরব প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও সেই তালিকায় বাংলাদেশ নেই।
তাই প্রতিদিনই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক শ্রমবাজার সৌদি আরব যাচ্ছেন প্রবাসী কর্মীরা। তবে করোনার টিকা না নিয়ে গেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় হোটেলে, যার খরচ কমপক্ষে ৭৫ হাজার টাকা।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা’র সাবেক সভাপতি আবুল বাশার জানান, নতুন ও পুরাতন মিলে সৌদি আরবে গেছেন বা যাবেন প্রায় ৫০ হাজারের মতো। সেই হিসেবে কোয়ারেন্টাইন ফি বাবদ তাদের পেছনে দেশ থেকে ৩৭৫ কোটি টাকা চলে যাবে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের যদি করোনার টিকা দিয়ে পাঠানো হয় তাহলে এই বিপুল অর্থ দেশেই থেকে যাবে। সেসঙ্গে কর্মীরাও বড় অংকের টাকা বাঁচাতে পারবেন।
ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসার সময় প্রবাসীদের জন্য এক লাখ বিশ হাজার টিকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হরেও, সেটি হয়নি।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, আগামীতে এমনি আর হবে না। প্রবাসীদের জন্য টিকার আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিদেশে গেছেন প্রায় দুই লাখ কর্মী। তবে ভবিষ্যতে টিকা না নিয়ে গেলে এই যাত্রা বাধাগ্রস্থ হবার আশঙ্কা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।