গভীর সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে মহেশখালী ডিপোতে প্রথমবারের মতো ডিজেল ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস শুরু হয়েছে।
এর আগে মাদার ভেসেল থেকে আনা হলেও এখন পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি ডিপোতে পৌঁছাবে তেল। এতে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
মহেশখালীর তেলের ডিপো থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে নির্মাণ করা হয়েছে বড় জাহাজ থেকে তেল খালাস করার ভাসমান টার্মিনাল।
সেখান থেকে দুটি পাইপ লাইনের মাধ্যমে ডিজেল ও অপরিশোধিত তেল চলে আসছে সরাসরি ডিপোতে।
টার্মিনাল ও পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ শেষে প্রথমবারের মতো একটি জাহাজে করে আসা প্রায় ৮২ হাজার টন তেল খালাসের কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই এটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এর আগে গভীর সমুদ্রে থাকা তেলবাহি বড় জাহাজ থেকে ছোট ছোট জাহাজের মাধ্যমে তেল খালাস করে মহেশখালীর ডিপোতে আনতে হতো। এতে সময় লাগতো প্রায় ১২ দিন।
খালাসের সময় তেল চুরি বা সিস্টেম লসের ঘটনাতো ছিলোই। গুণতে হতো জাহাজ অপেক্ষায় থাকার ভাড়াও। ভাসমান টার্মিনাল ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে এসব সঙ্কটের অবসান হলো।
আরও পড়ুন: অতি গরম আর অনাবৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের ফলনে ধস
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের জ্বালানি মজুদ বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। ইস্টার্ন রিফাইনারির অর্থে নির্মিত এই প্রকল্প দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
একাত্তর/এসি