মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রেখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য- ‘আমরা তো তিমির বিনিশী হতে চাই’।
কোন সাম্প্রাদায়িক উস্কানিতে আমরা আতঙ্কিত নই, বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন। রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন ।
ঈদের পর পর বাঙ্গালীর এই উৎসব হলেও সবাই অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও এই আয়োজনের সভাপতি মুহাম্মাদ সামাদের।
এবারো শোভাযাত্রায় দেশীয় লোকজ উপকরণের মোটিফ থাকছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দেবার নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেষ্টন করে না রাখতে আহবান জানান সংস্কৃতিজনেরা।
সেই সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে কথা মতো সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা মানা হবে না বলে জানিয়েছে সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোট। বরং জোটের আয়োজনে বর্ষবরণের দিন বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে চলবে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এসময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।’
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে ৬ টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেটি আমরা মানছি না। এবার আমরা যার যার মত সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান শেষ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা যদি পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করি, তাহলে মৌলবাদ শক্তিশালী হবে। পহেলা বৈশাখ একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব। মৌলবাদ ঠেকাতে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে।’