প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরে ২০টি সমঝোতা স্মারক সই করা হলেও কোনো চুক্তি হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ জুলাই সোমবার চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন। তার সফরসঙ্গী হিসাবে মন্ত্রী, আমলা ছাড়াও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ যোগ দেবেন।
এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ছাড়াও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শুল্ক-অশুল্ক বাধা দূর করে বাণিজ্য বৈষম্য কমাতে এবারের সফর বিশেষ গুরুত্ব রাখবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিস্তা প্রকল্প প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের অভিন্ন নদী তিস্তা। তাই তিস্তা প্রকল্পে ভারতের সাথে কাজ করাই সঠিক মনে করছে বাংলাদেশ। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের আগ্রহে আমরা উৎসাহী। কিন্তু এটি চীনের নদী নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ হতে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে।
চীন সফরে দুই দেশের বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক আলোচনার জন্য এই সফরে বাংলাদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল থাকছে। চীনে আমরা রপ্তানি বাড়াতে চাই। বিশেষ করে কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে যেসব শুল্ক বাধা আছে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া অতীতের যেসব চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং চীনের সহযোগিতায় আমাদের পূর্ব উন্নয়ন ও চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আলোচনাও চলমান থাকবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা এবার পঞ্চমবারের মতো চীন সফরে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন অংশীদারত্ব থেকে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপ নেয়।