গার্মেন্টস খুলে দেবার পর এবার দেশের সকল দোকানপাট খুলে দেবার দাবি জানালো বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সংগঠনটির দাবি, লকডাউনের কারণে গেল ১৮ মাসে প্রায় ৫৫ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৭ লাখ কোটি টাকা।
জীবিকা বাঁচাতে তাই প্রয়োজনে দেশে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি ও আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীকে লাঠিচার্জের ক্ষমতা দিয়ে জনগণকে মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলানোর দাবিও জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি নেতারা।
করোনার তীব্র সংক্রমণের মধ্যেও খুলেছে দেশের রপ্তানি-মুখী পোশাক শিল্প কারখানা। তবে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) পর্যন্ত বন্ধ দেশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও শপিংমল। কিন্তু ৬ আগস্ট অর্থাৎ শুক্রবারের পরে লকডাউন থাকছে কিনা তা নিয়ে এখনও পরিষ্কার অবস্থান জানায়নি সরকার।
যদিও ৫ আগস্টের পর আর দোকানপাট বন্ধ রাখতে চায় না বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ১১টি ব্যবসায়ী সংগঠনকে সাথে নিয়ে রোববারের (১ আগস্ট) এই সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফিরতে ফেরিঘাটে জনস্রোত, বাস-লঞ্চে ভোগান্তি কমেছে
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ব্যবসা-বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা না করতে পারায়, গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৫৫ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চরম পর্যায়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
দোকান মালিক সমিতি মহাসচিব জহিরুল হক ভূইয়া এ সময় কোন কোন ব্যবসাখাতে ঠিক কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লকডাউন দীর্ঘায়িত করা হলে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ অনাহারে মারা যাবে। আর এ কারণে ৫ আগস্টের পর লকডাউন উঠিয়ে নেবার দাবি তাদের। তারা সরকারকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারিরও আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সাথে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বুথ খুলে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার দাবি জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে মালিকরা উদাসীন
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে দেশের সব শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩০ জুলাই) গার্মেন্টসসহ রপ্তানি-মুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
একাত্তর/আরএ