৩১ আগস্টের মধ্যে ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার। সবাইকে টিকার আওতায় আনার পর, সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবার কথা জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
এদিকে এসএসসি আর এইচএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় একলাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে টিকা পাবেন, এমন সিদ্ধান্ত থাকলেও এবার ১৮ বছরের উপরে বয়স এমন সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকার আওতায় আনতে চান সরকার।
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, এমন শিক্ষার্থীরাও জন্মসনদ বা পাসপোর্ট দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
তবে বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এখনই টিকার আওতায় আসছে না। মঞ্জুরি কমিশনের হিসেবে এখন উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের প্রায় ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা সবাই টিকার আওতায় আসছে।
গত ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে গত ৫ জুলাই করোনার টিকার বয়স ৩৫ বছর করা হয়।
দেশে টিকা নিবন্ধনের শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সিদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেই সময় ৫৫ থেকে বয়স কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়। এর পর ২য় দফায় কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় টিকা গ্রহীতাদের বয়স কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে।
একাত্তর/ এনএ