নারায়ণগঞ্জের হাশেম ফুডস কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার ২৬ দিন পর ২৪ জনের মরদেহ পেয়েছেন স্বজনরা। বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেন সিআইডি’র কর্মকর্তারা।
এ সময় ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধ ছিলো, স্বজনরা যেনো কফিন খুলে মরদেহ না দেখেন। কারণ, শরীর পুড়ে কেবল কংকালটাই অবশিষ্ট আছে।
১৩ বছরের সুমাইয়া প্রায় এক মাস কান্না বুকে চেপে রেখেছিলো বুধবার (৪ আগস্ট) দিনটির জন্যই। বোনের পোড়া শরীর আরেক বোনকে পোড়ায় যে আগুন, তা নিভে না কোনো দিন বা মাসের হিসাবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে বুধবার সকাল ৯টা থেকেই বাতাস ভারী হতে শুরু করে। তীব্র গন্ধ আর বুকে শোকের পাথর ছাপিয়ে সামনে আসে এর চেয়েও কঠিন সংকট।
৮ জুলাই রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস কারখানার আগুনে মারা যায় ৫১জন। বন্ধ গেটের ভেতর ১৯ ঘন্টার আগুনে তাদের শরীর এতোটাই পুড়ে যায় যে, কংকাল ছাড়া আর কিছুই ছিলো না করো।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে খরায় পুড়ছে মাঠ, আমন চাষে বিপাকে কৃষক
ডিএনএ পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্তের পর কফিনবদ্ধ সেই কংকাল দেওয়া হয় স্বজনদের কাছে, যা দেখার বা ছোঁয়ার জন্য নয়।
এখনো তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এজন্য আবার এসব মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনা নেওয়া হবে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তাওসীফ ইব্রাহিম ও তানজীব ইব্রাহিমসহ সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা করে পুলিশ।
তবে গ্রেপ্তারের তিন দিনের মাথায় জামিনে ছাড়া পেয়ে গেছেন তারা।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া বাকি ২১ মরদেহ শনিবার একইভাবে স্বজনদের কাছে দেওয়া হবে। আর প্রয়োজনে মালিকপক্ষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি।
একাত্তর/আরবিএস