প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিব সংসারসামলানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জাতির পিতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন।
রোববার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগমফজিলাতুন্নেছা ১৯৩০ সালের এইদিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন।
তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যঅনুপ্রেরণাকারীও। বিশেষ করে ছয় দফা আন্দোলনে প্রায় সব নেতা গ্রেপ্তার হবার পর তিনিকর্মীদের পরিচালনা করেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আলোচনাসভায় যুক্ত হয়ে ইতিহাসের বাঁক বদলে তার মায়ের ভূমিকার স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েই শুধুনয়, মৃত্যুতেও সাথী ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
তিনি বলেন, আমার মা একদিকে সংসার সামলেছেন অপরদিকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোসঠিক সময়ে যাতে হয় তার ব্যবস্থা করেছেন। আন্দোলন সংগ্রামে এই দলকে বিশেষ করে আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগ যেন সব সময় সঠিক পথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতে পারে সেই নির্দেশনাদিয়েছেন’।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘সমস্ত তথ্য বাবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জেলখানায়থাকা বাবার কাছ থেকে সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে এসে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দেয়ার মতকাজগুলো তিনি গোপনে করেছেন। এভাবেই তিনি তার পুরো জীবনটাকে উৎসর্গ করেন আমার বাবারযে আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেন সেই আদর্শের কাছে’।
অনুষ্ঠানে নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা ৫ জন বিশিষ্ট নারীকে বঙ্গমাতাফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক ২০২১ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীপদক তুলে দেন। একই সময়ে সারা দেশে ৪ হাজার নারীকে সেলাই মেশিন এবং নগদ সহায়তা দেয়াহয়।
এর আগে সকালে বনানী কবরস্থানে ফজিলাতুন নেসা মুজিবের কবরে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা জানান। পরে দলেরকেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়েও শ্রদ্ধা জানান।
ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং আওয়ামী লীগেরসহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
একাত্তর/ এনএ