আজ ৯ ই আগস্ট। জ্বালানী নিরাপত্তা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তিতাসসহ বেসরকারী চারটি গ্যাস কোম্পানিকে নামমাত্র দামে কিনে নেন বঙ্গবন্ধু।
জাতীর জনকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করেই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
মৃত্যুর মাত্র ছয় দিন পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জাতীয় স্বার্থে প্রভাবশালী বহুজাতিক তেল কোম্পানি শেল ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে নাম মাত্র মূল্যে দেশের বৃহৎ পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র- তিতাস, বাখরাবাদ, রশীদপুর, কৈলাসটিলা ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রকে কিনে নিয়ে রাষ্ট্রয়াত্ব ঘোষণা করেন।
যার উপর ভিত্তি করেই এখন দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের জ্বালানি খাত। সেই অবদানকে স্মরণ রেখেই বর্তমান সরকার ৯ আগস্টকে জ্বালানি নিরপত্তা দিবস হিসেবে পালন করছে।
দিবসটিকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু জ্বালানী কৌশল এবং আমাদের জ্বালানী নিরাপত্তা বিয়য়ক এক ওয়েবিনারে জ্বালানী বিশেষজ্ঞারা বলেন, গেল বারো বছরে ৩২৬৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা থেকে বেড়ে সরবরাহের ক্ষমতা দাড়িয়েছে ২০,৮১৩ মেগাওয়াট।
তারপরও জ্বালানী নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। কেননা বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ আহরণ ও ব্যবহার। আর এখন দেশ ঝুঁকছে আমদানির দিকে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভঙ্গুর অবস্থা থেকে এখন এডিবিতে ১০৫ শতাংশ অর্জন করেছে জ্বালানী খাত। গেল ৩০ বছরে জ্বালানীর চাহিদা বেড়েছে ৩ গুন। তাই আমদানিতে না গেলে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে বাসা-বাড়ি প্রতিটি ক্ষেত্রে জ্বালানী সরবরাহের চ্যালঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে বাপেক্সসহ জ্বালানী খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও দক্ষ হতে হবে।
গ্যাস নিয়ে একটি সঠিক ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা করা না গেলে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে না বলে মত প্রতিমন্ত্রীর।
একাত্তর/ এনএ