মঙ্গলবার ঢাকায় চতুর্থ দিনের মতো গণটিকা কার্যক্রমে পাঁচ থেকে ৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে টিকা পাননি। কিন্তু টিকা না পাওয়ার অভিযোগের চেয়ে, মানুষজন সরব ছিলো কেন্দ্রের হয়রানি আর পুলিশের স্বজনপ্রীতি দেখে। অনেকেই অভিযোগ করেন, অব্যবস্থাপনার কারণে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয়নি।
মতিঝিল টিএনটি উচ্চ বিদ্যালয় গেটের দুই পাশে থাকা মানুষগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে, সেই ভোর থেকে। অথচ বেলা ১২টা বাজা পর্যন্তও টিকা নিতে পারেননি অনেকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকা না পেলেও, এলাকার জনপ্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে অনেকেই টিকা পান অল্প সময়ে।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের অভিযোগ, টিকা দেয়ার স্বজনপ্রীতিতে পুলিশের লোকজন এত ব্যস্ত ছিলো যে, স্বাস্থ্যবিধির দিকে তারা নজরই দিতে পারেননি। তবে যে কেন্দ্রে এমন অভিযোগ, সেই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বললেন, নিজের কোন লোককে টিকা পেতে সহযোগিতা তিনি করেননি।
মতিঝিল টিএনটি উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫ আর উত্তরের ৫৪ ওয়ার্ডে ১২৯টি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে টিকা নিতে পারেন ৪৫ হাজার মানুষ। অর্থাৎ প্রতিটি কেন্দ্র থেকে টিকা দেয়া হয় সাড়ে তিনশ’ জনকে। কিন্তু প্রতিকেন্দ্রে টিকার জন্যে আগ্রহী মানুষ ছিলো এক হাজারের বেশি।
একাত্তর/ এনএ