একই শহরের উত্তর আর দক্ষিণে ডেঙ্গু পরিস্থিতির পুরোপুরি ভিন্নচিত্র! চলতি মাসের প্রথম নয়দিনে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর প্রায় ৮০ শতাংশই ঢাকা দক্ষিণে, বাকি ২০ শতাংশ ঢাকা উত্তরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণে এডিস নিয়ন্ত্রণ বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে, পরিস্থিতি ২০১৯ এর মতো উদ্বেগজনক নয়। আর উত্তরের মেয়র বলছেন, মানুষকে সচেতন করার অব্যাহত প্রচেষ্টার সুফল মিলতে শুরু করেছে।
প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর হিসেবে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাতে দেখা যায়, পহেলা আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ঢাকা মহানগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ১৫৮৬ জন আর উত্তরে ৩৮৫ জন। অর্থাৎ চলতি মাসে ঢাকা মহানগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রায় ৮০ ভাগই ঢাকা দক্ষিণের, বাকি ২০ শতাংশ ঢাকা উত্তরের।
এডিস নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তরের সচেতনতা কর্মসূচীর সমাপনীতে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপের দিকে। তাই সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। যদিও প্রায় প্রতিদিনই বাড়ি গিয়ে এডিসের উৎস নির্মূলে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
নগর প্রশাসন বলছে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো ২০১৯ সালের মতো উদ্বেগজনক নয়। কারণ, সেবার আগস্টে ঢাকা মহানগরীতে ডেঙ্গু রোগী ছিলো ৫০ হাজারের বেশি। আর চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে যেটা ২ হাজারের ঘরে।
উত্তরের মেয়র বলছেন, ‘মানুষ সচেতন হয়েছে, তাই মহামারী আকারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই’।
ডেঙ্গুর অব্যাহত বিস্তারের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েক দফায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিসের লার্ভা ধ্বংসে অভিযান চালায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন । সবশেষ ২৭ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অভিযানে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। যার মধ্যে ৯৬৩টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।
উত্তরের নগর প্রশাসন জানিয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একাত্তর/ এনএ