বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ টিকা থেকেই রোহিঙ্গাদের টিকা দেয়া হচ্ছে। আর এই টিকা দেয়া হচ্ছে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপে।
একাত্তরকে এসব কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন, অনেকে রোহিঙ্গা নিয়ে উদ্বেগ জানালেও, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের মানুষের জন্য কোন দরদ নেই।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৩৪টি ক্যাম্পের ৫৬টি কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে।
আপাতত ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ৪৮ হাজার রোহিঙ্গার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৯ হাজার ডোজ টিকা। পর্যায়ক্রমে বয়সমীমা কমিয়ে আনা হবে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে।
আরও পড়ুন: শঙ্কা নিয়েই পুরনো রূপে ফিরছে নগরীর সড়ক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো আন্তর্জাতিক বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই টিকা সংগ্রহ করেনি। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আনা টিকাই মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের দেয়া হচ্ছে।
অথচ রোহিঙ্গাদের জন্য টিকা বরাদ্দ করতে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলির কাছে আবেদন করেছিলো বাংলাদেশ। সেই আবেদনে এখনো কেউ সাড়া দেয়নি বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত দুই হাজার ৬৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ জন।
একাত্তর/আরবিএস