করোনার কারণে কঠোর বিধি-নিষিধের ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। সকাল থেকে শতভাগ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে এসব ট্রেন।
বুধবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৭টি ট্রেন ছেড়েছে। এসব ট্রেনের মধ্যে রয়েছে- বলাকা এক্সপ্রেসে, তুরাগ এক্সপ্রেসে, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, পারাবাত এক্সপ্রেসে, সেনার বাংলা এক্সপ্রেসে, তিস্তা এক্সপ্রেসে এবং মহানগর প্রভাতি।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটের সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। বিক্রি হচ্ছে না স্ট্যান্ডিং টিকিট।
ঢাকা থেকে ২৫ জোড়া আন্তঃনগর এবং ১২ জোড়া মেইল-কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে। আর সারাদেশ থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২০ জোড়া মেইল-কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে।
তবে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানার দাবি করলেও বুধবার সকালে প্রথমে টিকিট কাউন্টারে সামাজিক দূরত্ব একেবারেই মানতে দেখা যায়নি। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষী ও ছিল না নিজ জায়গায়। তবে মাস্ক পরা, তাপমাত্রা মাপা এবং রেল জীবাণুমুক্ত করার নিয়ম মানা হয়েছে অনেকটাই।
তবে, যাত্রীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ যার মধ্যে রয়েছে- ‘কোনো প্রকার ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে না। সব অগ্রীম টিকিট যাত্রার ৫ (পাঁচ) দিন আগে ক্রয় করতে পারবেন। অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না’
‘কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। আসনবিহীন টিকিট বিক্রয় বন্ধ থাকবে। ট্রেনে ভ্রমণ ইচ্ছুক যাত্রীদের নিজ নিজ টিকিট নিশ্চিত করেই কেবল ট্রেনে ভ্রমণের জন্য অনুরোধ করা হলো’
‘টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীতে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না’
একাত্তর/ এনএ