গণটিকার জন্য সেই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও কাঙ্খিত টিকা নিতে পারেননি অধিকাংশ মানুষই। অনেকেরই অভিযোগ আছে নিজস্ব আর দলীয় লোকদের আগে-ভাগে টিকা দিচ্ছেন ঢাকা সিটির জনপ্রতিনিধিরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি গণটিকা কেন্দ্রের একটি, মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সকাল ১০টা থেকে গেটে তালা ঝুলছে ৩১ নং ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রে। কারণ এখান থেকে টিকা নিতে পারবেন সাড়ে তিনশ’ জন। যাদেরকে আগেই ঢোকানো হয়েছে কেন্দ্রের ভেতরে। গেটে যারা আছেন তাদের আসতে হবে বৃহস্পতিবার।
পাশের ২৯ নং ওয়ার্ডের চিত্রটা ভিন্ন। এই ওয়ার্ডে কিশলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়র কেন্দ্রে টোকেন নিয়ে যারা ঢুকেছেন তারাও সবাই পাচ্ছেন না টিকা। আবার টিকার জন্যে গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ানোর কারণে স্বাস্থ্যবিধি যেমন উপেক্ষিত হচ্ছে, তেমনি শঙ্কা আছে করোনা আক্রান্ত হওয়ার।
একই অভিযোগ সবার। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাচ্ছেনা মানুষ। যারা অনায়াসে পাচ্ছেন তারা সবাই জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব লোক। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।
গত পাঁচ দিনে গণটিকা পেয়েছেন রাজধানীর দুই লাখের কিছু বেশি মানুষ। এখনও সিংহভাগই রয়ে গেছে টিকার আওতার বাইরে। সারাদেশের চিত্রটাও ঠিক এমনই।
একাত্তর/ এনএ