শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর প্রথম দিনেই দেশের বেশিরভাগ স্থানেই গণপরিবহনে ছিলো অনেক ভিড়। ফলে মহাসড়ক ও রাস্তায় যানবাহনের চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। গাড়ি ও যাত্রী চাপ বেড়েছে দেশের সবগুলো ফেরিঘাটেও। বেশিরভাগ বাসে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই ছিলো না। যাত্রীরা জানান, এনিয়ে কোন ধরনের কড়াকড়িও চোখে পড়েনি।
বুধবার ভোর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে শত শত মানুষ আসে ঢাকার দিকে। বেশিরভাগ বাসে ছিলো না স্বাস্থ্যবিধির বালাই। বাস, ট্রাকের পাশাপাশি চলছে অসংখ্য অটোরিকশা। এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক টঙ্গী থেকে চন্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তায় থেমে থেমে যানজট। ভোগরা বাইপাস থেকে কড্ডা পর্যন্তও যানজট দেখা গেছে। অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও বেড়েছে যানবাহনের চাপ। আগের রাত থেকেই সড়কে নেমে পড়ে পরিবহন। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিলো পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। ঘাটে প্রায় সারাদিনই যানবাহনের দীর্ঘ সারি ছিলো। অপর প্রান্তে দৌলতদিয়ায় চিত্র ছিলো একই রকম। বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনে দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। এতে করে ফেরিঘাট থেকে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ফেরি স্বল্পতা, পদ্মায় তীব্র স্রোত ও অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লেগেছে শুধু নদী পারাপারেই। আর, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট থেকে ১৭টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। সকালে যাত্রীর চাপ তেমন না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়। চলচল করে পাঁচটি ছোট ফেরি। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে মানুষদের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সব ফেরিতেই ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার, শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে সকাল ৬টা থেকে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। রাত ৮টা পর্যন্ত এসব লঞ্চ চলবে।
একাত্তর/ এনএ