বিদ্যমান সীমানা নির্ধারণ আইনের জটিলতা দূর করতে সরকারের কাছে সংশোধন প্রস্তাব পাঠাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংক্রান্ত কমিটিকে আগামী কমিশন সভার মধ্যে প্রস্তুতি তুলে ধরার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে তৃতীয় কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ মন্তব্য করেন।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, কমিশন সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ১১টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে আরও গবেষণা করে পর্যালোচনা মতামত কমিশনে উপস্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সভায় বেশ কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। মূলত আমরা বেশ কিছু কমিটির গঠন করেছি।
ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর পর্যালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়, এটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আরও পর্যালোচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। দেশের জনসাধারণের শহরমুখী প্রবণতা রয়েছে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে করলে শহরের দিকে আসন সংখ্যা বাড়বে, অন্য এলাকায় কমে যাবে। সেটা সঠিক রিপ্রেজেন্টেশন হবে না বলে কমিশন মনে করে। ভোটার তালিকা আইন আরও পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ইসিকে।
এছাড়া সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ পর্যালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে যে আইনটি রয়েছে, এর দুটো বিষয় সমস্যার সৃষ্টি করছে। মূলত জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এ সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি করা হয়। আমরা করতে চাচ্ছি -ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থান, সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করার।
এ কমিশনার বলেন, একটি উপধারায় করণিক (টাইপিং মিসটেক) ভুল রয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। আসলে সেটা হওয়ার কথা নয়। আমরা সমস্যাটি তুলে ধরে সংশোধনের (সরকারের কাছে) জন্য লিখবো।
এদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ১৬টি বিষয়ে ১৫০টির মতো সুপারিশের সারসংক্ষেপে প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।