ভারতে বসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন জানিয়ে এর কড়া সমালোচনা করে ভারতীয় হাইকমিশনারকে একটি প্রতিবাদ লিপি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন জানান, এসব কারণেই ৩২ নম্বরে জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্য বন্ধে দিল্লিকে আগেও বহুবার অনুরোধ করেছে ঢাকা।
কিন্তু ভারত কোন জবাব দেয়নি বা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এবার এই ইস্যুতে ভারতের দূতের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ লিপি দিয়েছে বাংলাদেশ।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানান, ভারত জানিয়েছে শেখ হাসিনা বিদেশি প্লাটফর্ম (যুক্তরাষ্ট্রের) ব্যবহার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারতের কোনো প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবাদ নোটের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ, হতাশা এবং গুরুতর আপত্তির কথা তুলে ধরেছে। কারণ এই ধরনের বক্তব্য (শেখ হাসিনার) বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে।
মন্ত্রণালয় আরও জোর দিয়ে বলেছে যে, তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে অবিলম্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার চেতনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে থাকা অবস্থায় তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবহার করে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।