আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া কারো অভিযান চালানোর অধিকার নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মব প্রতিরোধে কাজ করছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা তৎপর রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন শেষে ফারইস্ট ভবনের নিচতলায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
রমজান ও ঈদকে ঘিরে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জনগণকে সচেতন হতে হবে। জনগণ উচ্ছৃঙ্খল হলে তো চলবে না। মহাসড়কে যেসব জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেসব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করছে।
তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের জনবলের অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। তাদের নিজস্ব কোনো থাকার জায়গা নেই, যানবাহনের অনেক সমস্যা রয়েছে। এরকম অনেক সমস্যার কথা আজকে শুনলাম। তারা দেশে অনেক ভালো কাজ করছে। এই ট্যুরিস্ট পুলিশ যদি আরো সক্রিয় হয়, তাহলে বিদেশি পর্যটকরা আমাদের দেশে আসবে, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা, যানবাহন বাড়ানোসহ তাদের থাকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, তারা একটি ভাড়া বিল্ডিংয়ে থাকে। নিজস্ব একটি বিল্ডিং দরকার। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের সংখ্যা অনেক কম হলেও স্পট অনেক বেশি। তাই তাদের জনবল বাড়ানো দরকার।
এরআগে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুমে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান মো. মাইনুল হাসান অতিরিক্ত আইজিপির (চলতি দায়িত্ব) সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ নামে বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়। বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের অধীনে ৪টি ডিভিশন, ১১টি রিজিয়ন, ৪২টি জোনে ৩২টি জেলায় মোট ১৩০টি স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে ১৩৯৪ জন অনুমোদিত জনবলের বিপরীতে ১২১০ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্য ১৩০টি পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।