জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের চার দিনের বাংলাদেশ সফরে, আবারও সামনে এলো বিশ্ববাসীর নজরের বাইরে থাকা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ঐক্য ও সমর্থনের আহবানে গুতেরেসের সম্মতির বিষয়টিকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে অ্যান্টোনিও গুতেরেসের দেওয়া বার্তাকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গেলো আট বছর ধরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব পালন করে আসছে বাংলাদেশ। তাদের ভরণ পোষণ করে আসছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা। তবে, রোহিঙ্গাদের অর্থায়ণে যুক্তরাষ্ট্রের পিছিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ।
এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিবের দিনব্যাপী কর্মসূচি নতুন আশার জন্ম দিয়েছে। রোহিঙ্গা অর্থায়ন ও প্রত্যাবাসন- এই দুই ইস্যুতেই গুতেরেসের সফর বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী।
রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের রাখাইন এখন বিদ্রোহী আরাকান আর্মির দখলে। সেখানে তৈরি হয়েছে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কতোটা সম্ভব; যখন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলছেন, পরের ঈদেই মাতৃভূমিতে ঈদ করতে পারবে রোহিঙ্গারা।
নাঈম আশফাক চৌধুরী মনে করেন, বর্তমান সরকারের নেয়া সংস্কার কার্যক্রমে গুতেরেসের সমর্থন ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ নির্মানের বিষয়টিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আর, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মারুফ মল্লিক বলেছেন, শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অবদানের কথা স্বীকার করে বিশ্বকে যে বার্তা দিয়েছেন সেটিকেও দেশের জন্য ইতিবাচক। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে গেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।