পরিবেশের ক্ষতি না করে, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নের তাগাদা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বুধবার, সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি একথা জানান।
সভায় দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে চলে আসলেই ডেঙ্গুও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অভিযান চলমান রাখার কথা বলেছেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
গেলো বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের অনেক চেষ্টার পরেও গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গু রোগী কমেনি বরং বেড়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় কমলো নতুন রোগীর সংখ্যা, একদিনে মৃত্যু ১১৪
তবে, ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে কয়েক ফোটা কেরোসিন দিলেই মশা বিস্তারের জায়গা ধ্বংস করা যায় বুধবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বললেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যদি ছাদ বাগান করেন তাহলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দিয়ে দেন। এর ফলে প্রতিদিন পানি সরাতে হবে না। কেরোসিন দিলে সেখানে লার্ভা হবে না’।
মন্ত্রী জানান, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কোন অধিদপ্তরের দরকার নেই। তার পরিবর্তে সমন্বিত বলাই দমন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। তার জন্য কাজ চলছে। পরিবেশের ক্ষতি করা যাবে না।
লম্বা বর্ষার কারণে এবার জলাবদ্ধতা কমছে না, কমছে না এডিস মশার বিস্তার। দক্ষিণ সিটি মেয়র বললেন, আবহাওয়া অনুকূলে এলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শূণ্যে নামিয়ে আনা যাবে।
আর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে বেশী ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হিসেবে মিরপুর আর উত্তরাতে এবার মশক নিধন অভিযান চালানো হবে, আলাদা অনুষ্ঠানে বললেন উত্তরের মেয়র।
নগর প্রশাসন ও কীটতত্ত্ববিদরা স্পষ্ট করেই বলছেন, নগরবাসীর সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই, কোথাও যেনো তিনদিনের বেশি জমা পানি না থাকে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
একাত্তর/এসজে