নিজস্ব আইনজীবী না থাকায় অধিকাংশ মামলায় হারছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি দমনে সংস্থাটির সফলতাও হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ।
পরিসংখ্যান বলছে, নিম্ন আদালতে কিছুটা সফল হলেও, উচ্চ আদালতে ৬০ শতাংশ মামলায় হারছে দুদক।
প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার মোঃ জহুরুল হক বলছেন, দুদকের নিজস্ব আইনজীবী থাকলে সব আদালতেই আরো সফল হতো দুদক।
দুর্নীতি দমনের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব অনুসন্ধানে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পেলে মামলা করে দুদক। এরপর চলে তদন্ত। দুর্নীতির এসব মামলার অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে বিচারিক আদালতে বিচার।
গেল এক যুগে বিচারিক আদালতে দুর্নীতির মামলায় কাঙ্ক্ষিত রায় পেলেও, উচ্চ আদলতে এসে তা বদলে যাচ্ছ। আইনি ফাঁকফোকর, আর স্থগিতাদেশের কারণে বছরের পর বছর অনিষ্পত্তি অবস্থায় থেকে যায় অনেক মামলা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনার তাগাদা
নিম্ন আদালতে যেখানে দুদকের সফলতা ৭০ শতাংশ সেখানে উচ্চ আদালতে ৪০। দুদক বলছে, উচ্চ আদালতে জামিনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কমে যায় দুদকের মামলার সাফল্যের হার।
আইন অনুযায়ী দুদকের একটি স্থায়ী আইনজীবী প্যানেল থাকবার কথা। কিন্তু, কমিশন প্রতিষ্ঠান ১২ বছর পরেও তা হয়নি।
চলছে চুক্তিভিত্তিক আইনজীবী দিয়ে। নিজস্ব আইনজীবী না থাকাকে আদালতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সফল না হওয়ার অন্যমত কারণ বলছে কমিশন।
তবে দুদকের মামলায় যদি কোনো অভিযুক্ত পার পেয়ে যায় তবে, প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
একাত্তর/এসজে