এশিয়ার নোবেলখ্যাত রমন ম্যাগসেসে ২০২১ পদক পেয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী আইসিডিডিআর’বির গবেষক ড. ফেরদৌসী কাদরী।
কাদরী প্রতিষেধকবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করেন। গেল ২৫ বছর ধরে কলেরার প্রতিষেধক উন্নয়নে কাজ করে আসছেন ফেরদৌসী কাদরী। এছাড়া তিনি ইটিইসি, টাইফয়েড, হেলিকোব্যাকটর পাইলোরি, রোটা ভাইরাস ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ।
তার প্রধান অধ্যয়নের বিষয় ছিল বাংলাদেশে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি এবং টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিক্রিয়ার উপর গবেষণা ও প্রতিষেধক প্রস্তুতকরণ।
তিনি আইসিডিডিআর’বির প্রতিষেধকবিদ্যা বিভাগ থেকে পোস্টডক্টোরাল গবেষণা শেষ করার পর, একই প্রতিষ্ঠানে ১৯৮৮ সালে সহযোগী বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন। পরে একই প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী, মিউকোসাল ইমিউনোলজি ও ভ্যাকসিনোলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান এই বিজ্ঞানী।
ফেরদৌসী কাদরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও আণবিক জীববিদ্যা বিভাগ থেকে ১৯৭৫ সালে বিএসসি ও ১৯৭৭ সালে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন, প্রতিষেধকবিদ্যা বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
চলতি বছর সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকীতে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন ফেরদৌসী কাদরী।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচিতে অবদানের জন্য ২০২০ সালে পেয়েছিলেন ল’রিয়েল-ইউনেসকো ফর ওমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড।
ড. কাদরীর সাথে এবছর পুরস্কার পেয়েছেন বিভিন্ন দেশের আরও তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান। তারা হলেন- রবার্টো ব্যালন, স্টিফেন মান্সি, মোহাম্মদ আমজাদ সাকিব ও ওয়াচডক।
রমন ম্যাগসেসে পুরষ্কার প্রবর্তন করা হয় ফিলিপাইনের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি রমন ম্যাগসেসেকে স্মরণ করে। রমন ম্যাগসেসের শাসনামলে তাঁর নিষ্ঠা, জনগণের প্রতি সেবা এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে বাস্তববাদী আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামকে স্মরণ করে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
ফিলিপাইন সরকারের সম্মতিতে এই পুরস্কারটি প্রবর্তন করেন নিউইয়র্ক শহরভিত্তিক রকফেলার ব্রাদার্স ফান্ডের ট্রাস্টিরা। পুরস্কারটি ১৯৫৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে দেয়া হয়ে আসছে।
একাত্তর/এআর