জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে বাগেরহাটে ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহন নিয়ে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বিশেষ করে শতশত মোটরসাইকেল ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় বাগেরহাট খানজাহান আলী ফিলিং স্টেশনে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে। সাধারণত রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত ওই স্টেশনে মাত্র পাঁচশ' থেকে ছয়শ' লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হয়ে থাকে।
ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে অতিরিক্ত জ্বালানি তেল বিক্রি হয়ে গেছে। একারণে নির্ধারিত সময়ে ডিপো থেকে জ্বালানি তেল আসার আগে তাদের স্টেশনে তেলের সংকট দেখা দিতে পারে।
শনিবার (৬ আগস্ট) বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, খরচ বাঁচাতে যানবাহনের চালকরা চাহিদার তুলনায় পরিমাণে কম জ্বালানি তেল ক্রয় করছেন।
খানজাহান আলী ফিলিং স্টেশন ম্যানেজার রিজাউল হক জানান, মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে তাদের স্টেশনে শতশত মোটরসাইকেলের জট তৈরি হয়। সেইসাথে প্রাইভেটকার এবং মাইক্রোবাসও ছিল।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যা বললেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
তিনি জানান, তাদের স্টেশনে রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার লিটার অতিরিক্ত জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে। অন্য দিনগুলোতে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত মাত্র ছয়শ' লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হয়।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.