রাজধানীর হাজারীবাগে ক্ষমতাসীন দল- আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ছাত্রলীগের চারজন ও ছাত্রদলের একজন আহত হয়েছে। হাজারীবাগে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে বিএনপি কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে গেলে তাদের বাধা দেয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা।
এরপরই দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক দফা সংঘর্ষের পর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তিনবার জায়গা পাল্টে হাজারীবাগে সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। সোমবার সকাল থেকে সমাবেশ ঘিরে চলছিলো উত্তেজনা। দুপুর দুটায় সমাবেশ শুরুর আগ মুহূর্তে বাধে সংঘর্ষ।
বিএনপির কর্মী সমর্থকেরা লাঠি হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকেরা বাধা দেয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে।
পাল্টাপাল্টি বেশ কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে উভয় পক্ষ দুইদিকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশও নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকেই শান্ত করে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা টালি অফিস রোডের মোড়ে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদেরকে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।
অন্যদিকে শিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঠিক উল্টে পাশে বেড়িবাঁধের পাশেই ছোট একটি মাঠে বিএনপি সমাবেশ করে। এতে শত শত নেতাকর্মী লাঠি হাতে যোগ দেন।
সমাবেশ থেকে বিএনপি নেতারা সংঘর্ষের নিন্দা জানান। তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে: কাদের
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম কমানো এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হাজারীবাগে আয়োজিত সমাবেশটি পরে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.