প্যারিসের পার্ক দো প্রিন্সেস, ফরাসি লিগ জায়ান্ট পিএসজি’র ঘরের মাঠ,
একেধারে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারেরও। সেই মাঠেই মঙ্গলবার রাতে আফ্রিকান দেশ তিউনিসিয়ার
সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলো ব্রাজিল। কিন্তু প্রীতি ছাড়া সব কিছুই ঘটেছে সেই
ম্যাচটিতে।
খেলায় ব্রাজিল ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তিউনিসিয়াকে। তবে ফলের চাইতে
খেলায় প্রতিপক্ষ সমর্থকদের উচ্ছৃংখল আচরণ আর মাঠে বাজে ট্যাকলিংয়ের কারণে ম্যাচটি হয়ে
উঠেছিলো বড় এক শঙ্কার ম্যাচ। তবে শেষ রক্ষা, বড় অঘটন ছাড়াই শেষে হয়েছে ম্যাচটি।
ম্যাচটিতেই নেইমারের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যেতে পারতো। খেলার ৪২ মিনিটের
সময় ভীষণ বাজে এক ফাউরের শিকার হন নেইমার। তিউনিসিয়ার ডিলান ব্রন যে ফাউল করেছেন, তা
ব্রাজিল সমর্থকদের মনে ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিলো।
এই ঘটনার আগেই ৪-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে তিউনিসিয়া। ৪২ মিনিটে নেইমারকে
জঘন্য ফাউল করে বিপদ আরও বাড়ান দলটির ডিলান। লাল কার্ড দেখেন। পরের সময়টুকু তিউনিসিয়াকে
খেলতে হয় ১০ জনের দল নিয়ে। তবে তার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে ফাউলের ধরন।
ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের কোচ তিতে বলেন, নেইমারকে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে না দিতে এভাবে আঘাত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা জানতাম মাঠের লড়াইটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং আস্থার হবে। কিন্তু নেইমারের সঙ্গে যা হয়েছে, তা আমি কল্পনা করতে পারিনি।
তিতে বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিশ্বকাপে আছে এমন দুই দলের সঙ্গে প্রীতি
ম্যাচ খেলতে। কারণ, শারীরিক, কৌশলগত এবং মানসিক চাহিদা অনেক বেশি ছিল। তিউনিসিয়া সাত
ম্যাচে অপরাজিত ছিল। আমরা এভাবেই প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলাম এবং ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম।
এদিন গ্যালারিতেও ছিল তিউনিসিয়ান সমর্থকদের দাপট, যার প্রভাব পড়েছে মাঠেও। জাতীয় সংগীতের সময় দুয়ো দিয়েছেন তিউনিসিয়ার সমর্থকেরা। লেজার দিয়ে ব্রাজিল খেলোয়াড়দের মনোযোগ নষ্টের চেষ্টাও হয়েছে, যে কারণে খেলা কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয় রেফারিকে।
আরও পড়ুন: সৌদির নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান
তিতের দল কাল নেইমারের ঘরের মাঠে ৪-১ করে ফেলে প্রথমার্ধেই। দুইটি
গোল করেছেন বার্সেলোনার উইঙ্গার রাফিনিয়া। বাকি গোলগুলো করেছেন রিচার্লিসন, নেইমার
ও পেদ্রো। ২৫ বছরের স্ট্রাইকার পেদ্রো ব্রাজিলের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম গোলের
পেলেন।
এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শেষ করলো ব্রাজিল। টানা পাঁচ ম্যাচ
জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই মিশনে নামবে ব্রাজিল। ২৫ নভেম্বর ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ
সার্বিয়া। জি-গ্রুপে ব্রাজিলের অন্য দুই প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.