বুরকিনা ফাসোর সামরিক শাসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পল-হেনরি দামিবাকে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অপসারণ করার কথা জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে বলেন, সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংবিধান ও অন্তর্বর্তী সনদ স্থগিত করা হয়েছে।
এর কারণ হিসেবে দেশে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র বিদ্রোহ মোকাবেলায় কর্নেল দামিবার অক্ষমতাকে দেখানো হয়েছে।
ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ঘোষণা দিয়ে বলেন, দেশের সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। সব ধরনের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের কর্মকাণ্ড স্থগিত থাকবে।
এছাড়াও দেশটিতে রাত ৯টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দামিবা সামরিক কর্মকর্তাদের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠনের বিভিন্ন প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিলেন। যার কারণেই বিগত সরকারকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
এদিকে, অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বৈশ্বিক সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফানে ডুজারিক।
বুরকিনা ফাসো দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। এর মধ্যে কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএস)-এর সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরানে বিক্ষোভ: ৯ ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সংবাদদাতা নিকোলাস হক জানান, বুরকিনা ফাসোর প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেশটিতে জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত হতাশা বেড়েই চলেছে।
দেশটিতে গত ৯ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটলো। এর আগে নিরাপত্তাহীনতার একই রকম অভিযোগ তুলে গত জানুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে সাবেক প্রেসিডেন্ট রস কাবোরেকে পদচ্যুত করেছিলেন দামিবা।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.