ঢাকা ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯

হত্যার দায়ে পাঁচ সহোদরসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৪৭:৪৮ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৪৮:২৬
হত্যার দায়ে পাঁচ সহোদরসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

নওগাঁর বদলগাছীতে কৃষক উজ্জল হত্যা মামলার নয় বছর পর অভিযুক্ত পাঁচ সহোদরসহ ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তিনজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। 

জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান, তার ভাই ওয়াহেদ আলী, সামসুজ্জামান, রকেট ও ডাবলু, একই গ্রামের আব্দুল হামিদ ও তার ভাই এনামুল হক, মোশাররফ হোসেন, বজলুর রহমান ও এমদাদুল হক। আর খালাস পাওয়া তিনজন হলেন বজলুর রহমানের স্ত্রী করিমা বেগম, এনামুলের স্ত্রী জলি আক্তার ও দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাবিবারের ছেলে মো. জীবন।

তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি মো. আব্দুল বাকী জানান, বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের একটি গভীর নলকূপের মালিকানা গ্রামবাসীর দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ৯ মে দুর্গাপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ও তার চার সহোদরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী উজ্জ্বল হোসেনসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করেন। ঘটনার চারদিন পর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জ্বল মারা যান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ মে দুর্গাপুর গ্রামের গভীর নলকূপ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বদলগাছী থানার উপ-পরিদর্শক লেলিন আলমগীর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন।

আরও পড়ুন: শেরপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি মো. আব্দুল বাকী বলেন, এই রায় থেকে অনেকেই শিক্ষা নিবেন। সেই সাথে আদালত ও দেশের আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান।


একাত্তর/জো

মন্তব্য

এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.

আপনার মন্তব্য লিখুন

Nagad Ads