কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৬ নভেম্বর)।
এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে। পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। শেষ মুহূর্তে এসেও চলছে ব্যাপক প্রচারণা।
সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির নেতা সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কায়সার ও মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ বিএনপিকে বহিস্কার-অব্যাহতি প্রাপ্ত নেতা করবেন শোডাউন।
এদিকে কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে কোনো পরিবহন ধর্মঘট থাকছে না। দলটির অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বিভিন্ন দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হলেও কুমিল্লায় কোনো ধর্মঘট ডাকা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ।
কুমিল্লায় বিএনপি দুই ধারায় বিভক্ত। তবে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সব ধারার নেতাকর্মীরা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। সরকারের সকল বাধা উপেক্ষা করেই কুমিল্লা নগরের প্রাণকেন্দ্র টাউনহলের মাঠে মহাসমাবেশ সফল করার ঘোষণা দেয় বিএনপির নেতারা।
সমাবেশের প্রচার প্রচারণা পুরোদমে শেষ পযায়ে মহাসমাবেশের অন্যতম নেতা কেন্দ্রীয় স্থানীয় কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, যতবাধাই আসুক মহাসমাবেশ সফল হবেই। বর্তমান সরকারের আমলে এই অঞ্চলে বড় কোন সমাবেশ করে নাই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আসছে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভাগে বিভাগে বড় শোডাউনের অংশ হিসেবে কুমিল্লায় এই মহাসমাবেশ।
যদিও দলের নেতারা বলছেন, শর্তের বেড়াজালে জনতার জোয়ার আটকে রাখা যাবে না। ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় জনসমুদ্র হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও সমাবেশ ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ যেসব দাবিতে আমাদের সমাবেশ হবে, এতে জনতার ঢল নামবে। যা কোনো সংখ্যায় নির্ণয় করা যাবে না।
কুমিল্লায় বিএনপির এ গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে ১০টি শর্তে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে গণসমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি।
দল থেকে আজীবন বহিস্কার হলেও মহাসমাবেশে প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। দূরের নেতা-কর্মীদের জন্য নগরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কম্পোজিট মিলে আগুন
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিস্কার হওয়া সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিনের ভাগ্য এখনও ঝুলে আছে দলের হাইকমান্ডের কাছে। এর সাথে মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিণ আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ এই তিন নেতাই সমাবেশে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুধু কুমিল্লা নয়, চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতেও থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকের সমাগম করতে দলের মাঠপর্যায়ে চলছে প্রচারণা।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.