রেসলিং বা মল্লযুদ্ধের সাথে পরিচিত নয়, এমন মানুষের সংখ্যা বিরল। বিশ্বে কমবেশি সকল দেশেই বিনোদন হিসেবে এই খেলা ব্যাপক জনপ্রিয়। টেলিভিশনের সুবাদে গেলো এক দশকে এর জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন সংস্থা 'ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট' এ খেলাকে ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের সকল প্রান্তে। এক্ষেত্রে মার্কিন মিত্র জাপান এতোটা এগোতে না পারলেও রেসলিং নিয়ে তাদের কাণ্ডকারখানা রীতিমত অবাক করার মতো।
পূর্ব এশিয়ার এ দ্বীপ রাষ্ট্রে রয়েছে "প্রো রেসলিং ট্রেন"। ট্রেনে চড়ে এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় যাওয়ার পথে যাত্রীরা বিনামূল্যে উপভোগ করছেন পেশাদার কুস্তিগীরদের লড়াই।
জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) পূর্বে অবস্থিত চিবা শহর। চিবা জাপানের 'চিবা' প্রশাসনিক অঞ্চলের রাজধানী। এ অঞ্চলটি ১৯৯২ সালে জাপান সরকার-মনোনীত শহরে পরিণত হয়। এই শহরেই চলছে আলোচিত প্রো রেসলিং ট্রেন।
চিবা জেলায় চলা জেআর কুরুরি লাইন একটি বিশেষ "প্রো রেসলিং" ট্রেন পরিচালনা করেছে। এই আয়োজনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, স্থানীয় রেলকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং যাত্রীদের আনন্দ দেওয়া। যেকোনো যাত্রী এ ট্রেনে ভ্রমণ ও রেসলিং ম্যাচ দেখার জন্য আবেদন করতে পারেন। গুনতে হয় না আলাদা কোনো পয়সা।
'বিগ জাপান প্রো-রেসলিং' এবং 'নিগাতা প্রো-রেসলিং' -এর ১০ জন পেশাদার কুস্তিগীর রয়েছেন এ ট্রেনে। চিবা অঞ্চলের কিসারাজু স্টেশন এবং কুরুরি স্টেশনের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টার পথ। এ পথ অতিক্রম করার সময়ই দেখা মেলে জাপানি রেসলারদের। দেড় ঘণ্টা ধরে লড়াই চালিয়ে যান তারা। চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই এক রেসলার আরেক রেসলারের ওপর লাফিয়ে পড়ছেন বা তুলে আছাড় দিচ্ছেন, নিজ আসনে বসেই তা উপভোগ করছেন যাত্রীরা।
এদিকে লড়াই শেষে যাত্রীরা পছন্দের রেসলারের সাথে ছবিও তুলতে পারেন। অনেকেই আবার রেসলারদের জড়িয়ে পড়েন প্রতীকী লড়াইয়ে।
যাত্রীরা বলছেন, এমন আয়োজন তাদের মুগ্ধ করেছে। তারা বিষয়টি উপভোগ করছেন।
আর চিবা কর্তৃপক্ষ বলছে, পেশাদার কুস্তিগীরদের দেখে মানুষ আনন্দ পাচ্ছে। ট্রেনকে জনপ্রিয় করতে এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও জাপানের বিভিন্ন শহরের একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এর ফলে যাত্রী সংখ্যা আসলেই কতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা জানা যায়নি।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.