জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্যানুযায়ী, চীন প্রচারণা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রভাব বাড়িয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
এনআইচকে জানায়, জাপানের জাতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট গতকাল শুক্রবার, চীনের সামরিক প্রবণতা নিয়ে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’এর বাস্তবায়ন করা সামরিক বাহিনীর একটি বড় ধরনের সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, তথ্যযুদ্ধ তত্ত্বাবধানের জন্য একটি নতুন ইউনিট গঠন করেছে চীন।
এতে এও বলা হয় যে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং সামরিক বাহিনী তাদের প্রভাব বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করেছে।
বিশেষ করে তাইওয়ানকে লক্ষ্য ধরে নিয়ে রাষ্ট্র-পরিচালিত গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীনের প্রচার কার্যক্রমও বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের মধ্যে সাইবার হামলা এবং ভুয়া খবর ছড়ানো’সহ তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কাছে পৌঁছানোর পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে এটিও উল্লেখ করা হয় যে, এই কার্যক্রমগুলো বিস্তৃত পরিসরের এবং তাইওয়ানের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এছাড়া চীন তাদের সামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌ মিলিশিয়াদের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করে নেয়ার মাধ্যমে পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সৌদির বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের জয়, চাপ বাড়লো আর্জেন্টিনার
জাপান বলছে, চীন সামরিক সংঘর্ষ এড়িয়ে প্রতিনিয়ত তথাকথিত ‘গ্রে জোন’ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অন্যান্য দেশের উপর চাপ প্রয়োগ করতে চাইছে।
এর আগে বিশ্বের সব জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক জানিয়েছিল, চীনের টিকটক অ্যাপের কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে এবং এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত রেকর্ড পরিমাণ গ্রাহক হারাবে ফেসবুক। অন্যদিকে চীনের তৈরি অ্যাপ বাজারের অন্য অ্যাপগুলোকে কোণঠাসা করে ফেলছে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.