ইরানে গত সেপ্টেম্বরে হিজাব না পরায় কুর্দি নারী মাশা আমিনি পুলিশের নির্যাতনে মারা যান। এরপর থেকেই ইরানে শুরু হয় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। আর তাতে সমর্থন জানিয়ে কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলাননি ইরানের ফুটবলাররা। এ নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে ঠিক তখনই দ্বিতীয় ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা গেছে তাদের। সে নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। এমনকি ইরানের ফুটবলাররা দেশে ফিরে শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন এমন শঙ্কার কথাও জানিয়েছিলেন ভক্তরা।
তবে এতো আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিরুদ্ধে জাতীয় ফুটবল দলের বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সমর্থকদের মাঝে।
খামেনি বলেন, ইরানের জাতীয় ফুটবল দল ইরানি জাতিকে খুশি করেছে। আল্লাহ তাদেরকে খুশি রাখুন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে জানায়, ইরানের সেচ্ছাসেবী বাহিনী বা বাসিজ দিবস উপলক্ষে শনিবার বাহিনীর সদস্য ও কমান্ডারদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন খামেনি।
এর আগে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) কাতারের আহমেদ আলী বিন স্টেডিয়ামে ওয়েলসকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইরান। চলতি বিশ্বকাপে এটি ছিল ইরানের দ্বিতীয় ম্যাচ। এদিন ম্যাচের ৯৭ মিনিট পর্যন্ত ০–০ স্কোরলাইনের ম্যাচ শেষ মুহূর্তের ঝড়ে সমাপ্ত হয় ইরানের অনুকূলে। তিন মিনিটের ব্যবধানে গোল দুটি করেন রুজবে চেশমি ও রামিন রেজায়িয়ান।
আরও পড়ুন: ব্যয় সংকোচন নীতিতে স্থগিত পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ
ইরানের এ বিজয়ে দেশজুড়ে আনন্দ-উল্লাস শুরু হয়। মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এই জয়ের ফলে নক আউট পর্বে যাওয়ার আশা টিকে রইলো ইরানিদের।
আগামী মঙ্গলবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইরান মুখোমুখি হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ইরান-মার্কিন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেই এই ম্যাচ নিয়ে আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে দুই দলের সমর্থকদের মাঝে।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.