ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের নাম লতা সরকার (৩২)। তিনি কথা বলতে পারতেন না। এছাড়া কানেও শুনতেন না ওই নারী। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে লতা ছিলো বড়। তার বাবার নাম রতন সরকার।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে অত্র থানাধীন সু-বাড্ডা সাবান ফ্যাক্টরি রোড এলাকা থেকে ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাত দুইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিউটে ভর্তি করা হয় তাকে।
ওসি বলেন, চিকিৎসারত অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
ধর্ষণের পর আগুন দেয়া হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের প্রশ্নের জবাবে শাহ জামান বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মৃতের ভগ্নীপতি মো. ফারুক হোসেন বলেন, তাদের (লতা) বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হন তিনি। পরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশের ভুক্তভোগীর মরদেহ উদ্ধার করে, যোগ করেন ফারুক।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
নিহতের বোন পাখি সরকার অভিযোগ করে বলেন, তাদের বাড়ির এলাকায় থেকে কয়েকজন ভুক্তভোগীকে সিএনজিতে করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় কদমতলা পার হাউজ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণের পর আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
একাত্তর/আরএ
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.