যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার ঘটনাকে উচ্ছ্বাসের সাথে উদযাপন করছেন ইরানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা। রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেচে গেয়ে আনন্দ করতে দেখা গেছে তাদেরকে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মাহসা আমিনির শহর সাকেজে বহু মানুষকে ইরানের পরাজয় উদযাপন করতে দেখা গেছে। এসময় আতশবাজি পুড়িয়ে ও মাথার ওড়না উড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
এছাড়াও সানান্দাজ, কেরমানশাহ, বেহবাহান, কাজভিন ও মারিভান শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশকে গুলি ছুঁড়তে ও লাঠিচার্জ করতে দেখা গেছে।
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নেয়াকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইরানের ফুটবল দলকে সমর্থন দেয়া থেকে বিরত থেকেছেন অনেক ইরানি নাগরিক।
তবে খেলোয়াড়দের ওপর অন্যায্য চাপ প্রয়োগের জন্য দেশি ও বিদেশী শক্তিকে দায়ী করা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে।
এর আগে বিক্ষোভকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া থেকে বিরত থাকেন ইরানের খেলোয়াড়রা। পরে অবশ্য ওয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ম্যাচে তাদেরকে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে গলা মেলাতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: আফগান মাদ্রাসায় বোমা হামলায় ১৫ জন নিহত
আর একেই নিজেদের আন্দোলনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও খেলোয়াড়দের ওপর ইরানের সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ১০ সপ্তাহ আগে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে এ আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের ক্র্যাকডাউনে এখন পর্যন্ত ৪৫০ জন নিহত ও প্রায় ১৮ হাজার বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.