নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে পদবঞ্চিতদের হামলায় দুই নেতা আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় তাদের মারধর করে আহত করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে দুই পক্ষ উত্তেজিত অবস্থায় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত দুজন হলেন- নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিম মিয়া ও সামস সিয়াম। তারা দু'জনই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র।
জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল আহাম্মেদ। ১৭ সদস্যের ওই কমিটিতে আসিফ সরকারকে সভাপতি ও রাকিব হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে চতুর্থ সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। ওই পরীক্ষায় অংশ নেন আজিম মিয়া ও সামস সিয়াম। পরীক্ষা শেষে কক্ষ থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাস চত্বরে আসার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের পথরোধ করেন ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন পদবঞ্চিত নেতা শরীফ, ফাহিম, তৌহিদ ও সাব্বির।
এসময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আজিম মিয়া ও সামস সিয়ামকে মাটিতে ফেলে উপর্যুপরি কিলঘুষি ও লাথি মারেন হামলাকারীরা। এতে তারা দুজনই গলা ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। খবর পেয়ে তাদের পক্ষের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা চলে যান।
এসময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ রেজাউল করিম নরসিংদী মডেল থানায় ফোন করে ঘটনা জানান। পরে নরসিংদী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইকবাল হোসেন ফোর্স নিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির হন।
আরও পড়ুন: দুর্ভোগ লাঘবে ‘কাঠের সেতু’
এসময় আহত দুজনকে ক্যাম্পাসেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অধ্যক্ষ রেজাউল করিম দুই পক্ষের নেতাদের নিয়ে বসে বৃহস্পতিবার বিষয়টি মিটমাট করা হবে জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এএসআই ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসে ঘটনা আর বড় হতে দেয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে দুই পক্ষকে নিয়ে এর সমাধান করা হবে, এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.