শেষবার ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে খেলেছিল মরক্কো। এরপর কাতার বিশ্বকাপ ২০২২-এ এসে নিজেদের ম্যাজিক দেখালো তারা। বেলজিয়াম আর কানাডার বিপক্ষে জয় আর ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে পৌঁছে গেছে মরক্কানরা।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে হাকিম জিয়েচ আর এন নেসারির গোলে লিড নেয় মরক্কো। আর কানাডা আত্মঘাতী গোলে একটি গোল পরিশোধ করে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই লিড নেয় মরক্কানরা। একটি আক্রমণ ক্লিয়ার করতে গিয়ে কানাডার গোলরক্ষক বক্সের বাইরে গিয়ে ভুল পাস দেন। বল পেয়ে যান হাকিম জিয়েচ। তখন ফাঁকা কানাডার গোলপোস্ট। দুর থেকে হাকিম জিয়েচ বল পোস্টে মারেন গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে। বল জালে জড়ানো দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না কানাডার রক্ষণের খেলোয়াড়দের ও গোলরক্ষকের।
১১ মিনিট পরই গোলটি ফিরিয়ে দেওয়া চমৎকার সুযোগ এসেছিল কানাডার। ডান দিক থেকে ডিফেন্সচেরা ক্রস ফেলেছিলেন কাইল নারিন। বলটি টাওন বুখানানের সামনে দিয়ে গেলেও পা লাগাতে পারেনি। তখন তার সামনে ছিল শুধুই গোলরক্ষক।
আরও পড়ুন: ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে মরক্কো
কানাডা ম্যাচে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি মরক্কো। ২৩ মিনিটে ইউসেফ নেসারির শট কানাডার গোলরক্ষকের হাতের নিচ দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।
কানাডা ব্যবধান কমিয়েছে ৪০ মিনিটে। তাও মরক্কোর আত্মঘাতী গোলে। বাম দিক থেকে কানাডার স্যামুয়েল আডোকুজবে যে শট নিয়েছিলেন তাতে পা চালিয়েছিলেন মরক্কোর ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ার্ড। বল গতি পরিবর্তন করে আশ্রয় নেয় জালে। এটি এই বিশ্বকাপের প্রথম আত্মঘাতী গোল।
একাত্তর/এসজে
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.